তাইওয়ান সফর করছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের চীনবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল চেজ। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান এ সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
তবে এ সফর সম্পর্কে জানেন এমন দুইটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার মাইকেল চেজ তাইপেতে অবতরণ করেন। বেলুন–কাণ্ডে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চলছে, তখন তাইওয়ান সফরে গেলেন মার্কিন উপসহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
মাইকেল চেজের তাইপে সফর নিয়ে জানতে চাইলে পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘নির্দিষ্ট এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তবে এটা আমরা আবারও বলতে চাই যে চীন যেভাবে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে তাইওয়ানের প্রতি আমাদের সমর্থন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেছিলেন, মার্কিন উপসহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। চেজ আসছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের বন্ধু, আমরা তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলব না। নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের তাইওয়ান সফরের বিষয়টি সব সময় জানা যায় না বা জানানো হয় না। ২০১৯ সালের শেষদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অল্পসংখ্যক মার্কিন কর্মকর্তা তাইপে সফর করেন। বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কোনো প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে তাইপে সফর করছেন চেজ।
তাইওয়ান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা থেকে চীনা বেলুন শনাক্তের ঘটনায় দেশ দুইটির এ উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, চেজের তাইওয়ান সফর ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের উত্তেজনা আরও বাড়াবে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। তাঁর এ সফর কেন্দ্র করে তাইওয়ান প্রণালিতে তীব্র সামরিক উত্তেজনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রকে পরিণাম ভোগ করার হুঁশিয়ারি দেয় বেইজিং। একই সঙ্গে তাইওয়ান প্রণালিতে দফায় দফায় যুদ্ধবিমান পাঠায়।