চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও নগরের একাংশ) আসনে লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। হেভিওয়েট প্রার্থী আনিসুল মহাজোট ও আওয়ামী লীগের সমর্থনে টানা তিনবারসহ মোট ছয়বারের এমপি। কিন্তু এবার সহজে পার পাচ্ছেন না তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন এম এ সালাম। লাঙলের সমর্থনে তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হলেও লাঙলের পক্ষে আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মী নেই। সম্প্রতি হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় উপস্থিত ৫৩ জনের মধ্যে ৫১ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছেন। শাহজাহানের (কেটলি) পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ ভোটের মাঠে রয়েছে। ফলে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ছয়বারের…
Author: আজহার উদ্দিন তুহিন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ‘স্মার্ট সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঘোষিত ইশতেহার পাঠকদের জন্য হুবহু দুলে ধরা হলো: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। প্রিয় দেশবাসী, উপস্থিত সুধিমণ্ডলী আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। টেলিভিশন, রেডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের…
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যা-পরবর্তী এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে, সব হারানোর বেদনা চেপে- জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারছে বাঙালি জাতি। উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সীমাহীন হিংস্রতা দূরীভূত হয়ে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে প্রতিটি মানুষের, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আইনের শাসন। দারিদ্র্য-ক্ষুধা-মন্দার নিদারুণ কষ্টকর পথ অতিক্রম করে আজ সচ্ছল হয়ে উঠেছে আপামর জনগণ। উগ্রবাদী চক্র এবং স্বৈরশাসকদের অপশাসন ও তীব্র শোষণে একসময় অনাহারে-অর্ধাহারে ছেঁড়া কাপড় পরে বেঁচে থাকা দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ আজ পেয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ জীবন, তারা নিজের চোখে দেখে যাচ্ছেন নতুনপ্রজন্মের জন্য তৈরি হওয়া আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের এই স্বপ্নীল…
আজকের বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর, আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে একটি বদলে যাওয়া দেশ। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় ধরে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, কিন্তু দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের চাইতে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। স্বাস্থ্যসেবা খাতের পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মানুষের দোরগোরাতেও পৌঁছে গেছে স্বাস্থ্যসেবা। দেশের শতভাগ এলাকা এখন বিদ্যুতের আওতায়। স্কুলে পড়ার মতো বয়সী প্রায় শতভাগ শিশুই এখন স্কুলে যাচ্ছে। এমনকি এসএসসি পর্যায় পর্যন্ত একটা বড় সংখ্যার শিক্ষার্থীকে বৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে (প্রাইমারি থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত) বিভিন্ন উপবৃত্তি এবং…
বাঙালির সাহসিকতা, বীরত্ব, অশ্রু ও আত্মত্যাগে মহিমান্বিত অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন আজ। একই সঙ্গে এই দিন বাঙালির আত্মপরিচয় লাভের দিন। আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি অর্জন করে তার শ্রেষ্ঠতম শব্দ—বিজয়।ওই দিন ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমপর্ণ করে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাথা নিচু করে চলে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বিশ্বের মানচিত্রে যুক্ত হয় লাল-সবুজ রঙের উজ্জ্বল এক চিত্রকলা—স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই লাল-সবুজ পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশ অর্জন করে হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও সারা জীবন গর্ব করার জন্য…
১৬ ডিসেম্বর, রক্তস্নাত বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাথা উচু করার দিন। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম করে বহু প্রাণ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদিনে বীর বাঙালি ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সূর্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের মুক্তিকামী মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের পর এদিন আত্মসমর্পণ করে মুক্তিকামী মানুষের কাছে। আর পাকিস্তানি বাহিনীর এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দীর্ঘ দুই যুগের পাকিস্তানি শোষণ আর বঞ্চনার। নির্যাতন, নিষ্পেষণের কবল থেকে মুক্ত হয় বাঙালি জাতি। ৪৯ বছরের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার বিশ্লেষণ হচ্ছে সর্বত্র। বিজয়ের ৪৯ বছর পূর্তিতে আজ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মা পেয়েছে শান্তি- ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের অনেকের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আজ পরম শ্রদ্ধা…
১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি বেদনার দিন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ শুরু করে এবং পাকিস্তানিরা যখন তাদের অনিবার্য পরাজয় উপলব্ধি করে তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মেধাবী মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীন বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও নতুন রাষ্ট্রকে মেধা শূন্য করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মেধাবী মানুষদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায়। বাঙালি জাতি যাতে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না…
১৪ ডিসেম্বর; শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, পরাজয় তাদের অনিবার্য। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ আবার ফুলে ফলে ভরে উঠবে। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের…
রাজধানীর গাবতলী ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় ৯ মিনিটের ব্যবধানে দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রাত ১১টা এবং ১১টা ৯ মিনিটে এই আগুন দেওয়া হয়। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান। রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ রাত ১১টার দিকে শেরেবাংলা নগরের থানার বাংলাদেশ বেতার ভবনের সামনের সড়কে ভূঁইয়া পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলে। অন্যদিকে রাত ১১টায় ৯ মিনিটের দিকে গাবতলী এলাকায় পদ্মা লাইন নামের একটি পরিবহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই বাসের আগুনও নিভিয়ে…
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশের আয়োজন করতে চায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রলবোমা হামলায় নিহত এবং আহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দ্রুত বিচারের দাবিতে এ সমাবেশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।